
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বৃদ্ধ আবুল কাশেমকে (৬৫) হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তারা এ সময় আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।শনিবার (১০ মে) সকাল দশটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেনবাগ উপজেলার কানকিরহাট বাজারে সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে স্থানীয় কানকিরহাট কলেজ, কানকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও কর্মসূচির প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করেন। সড়ক অবরোধের কারণে এ সময় সড়কের দুই দিকে অসংখ্য যানবাহনবাহন আটকা পড়ে অনেক মানুষ ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। পরে সেনবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আস্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা শান্ত হয়। পরে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে আম গাছের ঢাল কাটা নিয়ে কেশারপাড় গ্রামের ক্লাবঘর এলাকার আবুল কাশেমের সঙ্গে পাশের বাড়ির মো. হানিফদের ঝগড়া হয়। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন নানা হুমকি-ধমকি প্রদান করেন। এরপর পরদিন বুধবার সকাল আনুমানিক ছয়টার দিকে আবুল কাশেম বাড়ির পাশ্ববর্তী ক্লাবঘর নামকস্থানের দোকান থেকে নাস্তা আনতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেমকে মৃত ঘোষণার পর এলাকার লোকজন হামলার সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ ওয়াসিম (৩৪) নামে এক জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পরে নিহত কাশেমের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় মো. হানিফকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলার বাকি সাতজন আসামির কাউকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে আম গাছের ঢাল কাটা নিয়ে কেশারপাড় গ্রামের ক্লাবঘর এলাকার আবুল কাশেমের সঙ্গে পাশের বাড়ির মো. হানিফদের ঝগড়া হয়। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন নানা হুমকি-ধমকি প্রদান করেন। এরপর পরদিন বুধবার সকাল আনুমানিক ছয়টার দিকে আবুল কাশেম বাড়ির পাশ্ববর্তী ক্লাবঘর নামকস্থানের দোকান থেকে নাস্তা আনতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেমকে মৃত ঘোষণার পর এলাকার লোকজন হামলার সঙ্গে জড়িত মোহাম্মদ ওয়াসিম (৩৪) নামে এক জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। পরে নিহত কাশেমের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় মো. হানিফকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলার বাকি সাতজন আসামির কাউকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আবুল কাশেম হত্যার ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে আজ শনিবার স্থানীয় কানকিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তাঁরা এ সময় কাশেমের খুনিদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। অন্যথায় সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়ক বন্ধ করে দেওয়াসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন।
সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা ও কেশারপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু ইউছুফ মজুমদার, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানজিদ কামাল, ইউনিয় যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।নিহত আবুল কাশেমের জামাতা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, তার শ্বশুরকে সামান্য বিষয় নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। একজন আসামিকে তাঁরা ধরে পুলিশে দিয়েছেন। আর কোন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অথচ মামলার আসামিরা তাঁদের স্বজনদের মাধ্যমে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা ও কেশারপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু ইউছুফ মজুমদার, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সানজিদ কামাল, ইউনিয় যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।নিহত আবুল কাশেমের জামাতা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, তার শ্বশুরকে সামান্য বিষয় নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। একজন আসামিকে তাঁরা ধরে পুলিশে দিয়েছেন। আর কোন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অথচ মামলার আসামিরা তাঁদের স্বজনদের মাধ্যমে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, আবুল কাশেম হত্যার ঘটনায় থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। একজন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ওসি।