ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনাইমুড়ীতে দলিল জালিয়াতি করায় কারাগারে যুবক

  • আপডেট: ০৩:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • 29

 

রবিউল হাসান, সোনাইমুড়ী:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে দলিল স্ক্যান করে জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারি করার অভিযোগে এক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বীন আল জান্নাত এ দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের গোলাম সারোয়ারের ছেলে শোয়েব সারোয়ার।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে পালপাড়া মৌজার একটি বিবাদমান নামজারির শুনানিকালে জমির মূল দলিল এবং নামজারি খতিয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ২০২৩ সালের অনলাইনে সৃজিত নামজারি খতিয়ানের সঙ্গে দাখিলকৃত দলিলের স্ক্যান কপির মিল না থাকায় সন্দেহ দেখা দেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে শোয়েব সারোয়ার দলিল স্ক্যান করে টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে কাগজপত্র পরিবর্তনের কথা স্বীকার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করেছেন। আইন অনুযায়ী তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আগেও দুইটি নামজারি আবেদনে একই ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে। জমি সংক্রান্ত জালিয়াতি রোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

সোনাইমুড়ীতে দলিল জালিয়াতি করায় কারাগারে যুবক

আপডেট: ০৩:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

রবিউল হাসান, সোনাইমুড়ী:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে দলিল স্ক্যান করে জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারি করার অভিযোগে এক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বীন আল জান্নাত এ দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের গোলাম সারোয়ারের ছেলে শোয়েব সারোয়ার।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে পালপাড়া মৌজার একটি বিবাদমান নামজারির শুনানিকালে জমির মূল দলিল এবং নামজারি খতিয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ২০২৩ সালের অনলাইনে সৃজিত নামজারি খতিয়ানের সঙ্গে দাখিলকৃত দলিলের স্ক্যান কপির মিল না থাকায় সন্দেহ দেখা দেয়।

জিজ্ঞাসাবাদে শোয়েব সারোয়ার দলিল স্ক্যান করে টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে কাগজপত্র পরিবর্তনের কথা স্বীকার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করেছেন। আইন অনুযায়ী তাকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আগেও দুইটি নামজারি আবেদনে একই ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়েছে। জমি সংক্রান্ত জালিয়াতি রোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”