ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাউল ওজনে কম দেয়ায় সোনাইমুড়ীতে গুদাম কর্মচারী ও ডিলারদের মধ্যে হট্টগোল

  • আপডেট: ১২:০৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  • 10

 

রবিউল হাসান, নোয়াখালী:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চালের প্রতি বস্তায় ৩-৪ কেজি কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে খাদ্য গুদামের কর্মচারী ও ডিলারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্ধারিত ডিলারেরা চাল নিতে আসলে এমন ঘটণা ঘটে। চাল কম পাওয়ায় ডিলার’রা প্রতিবাদ করলেও মেলেনি সমাধা, সৃষ্টি হয় হট্টগোল। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের উপস্থিতির টের পেয়ে ভিন্ন বস্তা থেকে চাল দিয়ে ৫০ কেজি মেলাতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা মেলেনি গুদামের দায়িত্বে থাকা ইনচার্জের।

বজরা ইসলামগঞ্জ বাজারের চাল ব্যবসায়ী ও খাদ্যবান্ধব ডিলার নুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ১৫৩ বস্তা চাল নিতে গুদামে গেলে প্রতিটি বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি করে চাল কম পান। পরিমাপে কম দেওয়ার বিষয়ে কথা বললে গুদাম কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইমরান হোসেন তালুকদার তাঁদের সঙ্গে প্রায়ই অশোভন আচরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলার জানান, “গুদাম থেকে চাল বস্তায় কম দেয়, এটা সত্য। আবার চাল নিতে হলে কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিতেও হয়।”

অফিস সহকারী নুর মোহাম্মদ বলেন, “খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা বাইরে আছেন। ডিলারদের সঙ্গে যে সমস্যা হয়েছে, তার সমাধান হয়েছে। বস্তার মধ্যে চাল কম থাকতেই পারে, এটা বিচিত্র কিছু নয়।”

গুদাম কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইমরান হোসেন তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাউল ওজনে কম দেয়ায় সোনাইমুড়ীতে গুদাম কর্মচারী ও ডিলারদের মধ্যে হট্টগোল

আপডেট: ১২:০৯:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

 

রবিউল হাসান, নোয়াখালী:

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চালের প্রতি বস্তায় ৩-৪ কেজি কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে খাদ্য গুদামের কর্মচারী ও ডিলারদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্ধারিত ডিলারেরা চাল নিতে আসলে এমন ঘটণা ঘটে। চাল কম পাওয়ায় ডিলার’রা প্রতিবাদ করলেও মেলেনি সমাধা, সৃষ্টি হয় হট্টগোল। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের উপস্থিতির টের পেয়ে ভিন্ন বস্তা থেকে চাল দিয়ে ৫০ কেজি মেলাতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা মেলেনি গুদামের দায়িত্বে থাকা ইনচার্জের।

বজরা ইসলামগঞ্জ বাজারের চাল ব্যবসায়ী ও খাদ্যবান্ধব ডিলার নুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ১৫৩ বস্তা চাল নিতে গুদামে গেলে প্রতিটি বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি করে চাল কম পান। পরিমাপে কম দেওয়ার বিষয়ে কথা বললে গুদাম কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইমরান হোসেন তালুকদার তাঁদের সঙ্গে প্রায়ই অশোভন আচরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলার জানান, “গুদাম থেকে চাল বস্তায় কম দেয়, এটা সত্য। আবার চাল নিতে হলে কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিতেও হয়।”

অফিস সহকারী নুর মোহাম্মদ বলেন, “খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা বাইরে আছেন। ডিলারদের সঙ্গে যে সমস্যা হয়েছে, তার সমাধান হয়েছে। বস্তার মধ্যে চাল কম থাকতেই পারে, এটা বিচিত্র কিছু নয়।”

গুদাম কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইমরান হোসেন তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।