ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাটখিলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা আশংঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি,অভিভাবকদের আতঙ্ক ও ক্ষোভ

  • আপডেট: ০৪:২২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
  • 100

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী জেলা চাটখিলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা আশংঙ্কা জনক হারে বেড়েই চলেছে নির্যাতনের শিকার এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ছাড়া অন্য সবগুলো সংঘঠিত হয়েছে শিক্ষকদের দ্বারা। এতে করে অভিভাবক মহলে চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, নির্যাতনের এসব ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপর। এখানে চাটখিল মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৭) কে কলেজের ২০০ গজের মধ্যে এক ভূয়া ডাক্তার নাক অপারেশনের অজুহাতে চেতনা নাশক ঔষধ ব্যবহার করে ধর্ষণ করে। প্রথমত এ ঘটনা চাপা থাকলেও ৩/৪ দিন পর ঘটনা জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ঐ শিক্ষার্থীর মা ০২ জুলাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। এ মামলা তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঐ ভবনে বাথরুম সিলগালা না করে এবং মামলা তদন্তে যে ৫/৬ জন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে রহস্য জনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। গত ২৫ মে শাহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহমান জিহাদকে ক্লাস রুমে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেত্রাঘাত ও চড় থাপ্পাড় মেরে গুরুত্বর আহত করে। একই সাথে কড়িহাটি ছালেমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান দাখিল ৭ম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তার মিম এবং ইসরাত জাহান প্রভাকে সাইকেলে স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত এ ৩ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তাছাড়া তালতলা গ্রামের মারকাজল কোরআন মাদ্রাসা এবং আল-ফারুক ইসলামী একাডেমীর ২ শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগ ২ শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এধরনের আরো ২/৩টি ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে।

এসব ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে চরম আতংক বিরাজ করছে। এসব নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দশঘরিয়া বাজারের শামসুল হক জানান, এ সমস্ত ঘটনা প্রতিনিয়ত সংঘঠিত হলেও কঠোর কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এ অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এহসানুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি অবহিত মাত্রই তিনি ঘটনার স্থল গিয়ে তদন্ত করে তার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হক জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ থানায় আসলে থানা পুলিশ তৎক্ষণিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন এ ব্যাপারে জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রমাণিত হলে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠান।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাটখিলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা আশংঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি,অভিভাবকদের আতঙ্ক ও ক্ষোভ

আপডেট: ০৪:২২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী জেলা চাটখিলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা আশংঙ্কা জনক হারে বেড়েই চলেছে নির্যাতনের শিকার এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ছাড়া অন্য সবগুলো সংঘঠিত হয়েছে শিক্ষকদের দ্বারা। এতে করে অভিভাবক মহলে চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, নির্যাতনের এসব ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপর। এখানে চাটখিল মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৭) কে কলেজের ২০০ গজের মধ্যে এক ভূয়া ডাক্তার নাক অপারেশনের অজুহাতে চেতনা নাশক ঔষধ ব্যবহার করে ধর্ষণ করে। প্রথমত এ ঘটনা চাপা থাকলেও ৩/৪ দিন পর ঘটনা জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ঐ শিক্ষার্থীর মা ০২ জুলাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। এ মামলা তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঐ ভবনে বাথরুম সিলগালা না করে এবং মামলা তদন্তে যে ৫/৬ জন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে রহস্য জনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। গত ২৫ মে শাহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র আব্দুর রহমান জিহাদকে ক্লাস রুমে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেত্রাঘাত ও চড় থাপ্পাড় মেরে গুরুত্বর আহত করে। একই সাথে কড়িহাটি ছালেমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান দাখিল ৭ম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা আক্তার মিম এবং ইসরাত জাহান প্রভাকে সাইকেলে স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত এ ৩ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তাছাড়া তালতলা গ্রামের মারকাজল কোরআন মাদ্রাসা এবং আল-ফারুক ইসলামী একাডেমীর ২ শিক্ষার্থীকে বলৎকারের অভিযোগ ২ শিক্ষককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এধরনের আরো ২/৩টি ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে।

এসব ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে চরম আতংক বিরাজ করছে। এসব নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দশঘরিয়া বাজারের শামসুল হক জানান, এ সমস্ত ঘটনা প্রতিনিয়ত সংঘঠিত হলেও কঠোর কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এ অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এহসানুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি অবহিত মাত্রই তিনি ঘটনার স্থল গিয়ে তদন্ত করে তার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হক জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ থানায় আসলে থানা পুলিশ তৎক্ষণিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন এ ব্যাপারে জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত প্রমাণিত হলে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠান।