স্টাফ রিপোর্টারঃ
মীর ওয়ারিশপূর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শামসুল এরফান এবং অফিস সহকারী ওমর ফারুকের নানা জালিয়াতি এবং দুর্নীতির অভিযোগে এলাকাবাসী ও শিক্ষকবৃন্দ নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাইল এর নিকট সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের পক্ষে সহকারী অধ্যাপক মাহাবুবর রহমান সাক্ষরিত স্মারক লিপি প্রদান করেন।
শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকাবাসী নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং মাদ্রাসার গভর্নিং বডি বর্তমান সভাপতি (সার্বিক) এর নিকট আবেদন করেছেন।
শিক্ষকবৃন্দ এবং এলাকাবাসী আশা করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অধ্যক্ষ এবং অফিস সহকারীর দীর্ঘ বছরের দুর্নীতির অবসান ঘটবে। এবং নানা অনিয়মের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সমন্বয়ক ফরাহাদের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন এবং তাদেরকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে গত ১০ বছরের আয় ব্যয় হিসাব দাখিল করার জন্য অনুরোধ জানান।
এছাড়াও প্রায় গত দুই মাস আগে শিক্ষকরা আবেদন করেছেন তাদের ১৫ বছরের হিসাব দেওয়ার জন্য। কিন্তু অভিযুক্ত অধ্যক্ষ শামসুল এরফান শিক্ষক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়কগনক ও এলাকাবাসী কাউকে তোয়াক্কা না করে হরহামেশা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অধ্যক্ষ রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন নেতাদের কাছে ধরনা দেয় নিজেকে বাঁচানোর জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও উল্টো তিনি সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, সমন্বয়কগন তার কাছে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছেন।
সকল শিক্ষক, সমন্বয়কগন এবং এলাকাবাসী আশা করেন খুব দ্রুত এডিসি মুহাম্মদ ইসমাইল উক্ত বিষয়ে তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নিবেন।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অর্থ লোপাঠ,অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষার নকল সরবরাহ করা, শিক্ষকদের সাথে সাথে দুর্ব্যবহার করা সহ নানা অভিযোগ। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সকল ধরনের দুর্নীতির তথ্য বের হয়ে আসবে বলে এলাকাবাসী এবং শিক্ষকরা আশা করছেন।
এবিষয়ে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক শামসুল ইরফানের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি অসুস্থতা ও অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন।